হিউম্যানস অফ আইফার্মার - আবদুর রহমান

আইফার্মার, ২২ অক্টোবর

2 মিনিটের পড়া

হিউম্যানস অফ আইফার্মার - আবদুর রহমান

লালমনিরহাটের কৃষক আবদুর রহমান আইফার্মার থেকে কৃষি পরামর্শ ও প্রযুক্তি গ্রহণ করে তার ধানের উৎপাদন ৫০% বৃদ্ধি করেছেন।

“আমি যেদিন উচ্চফলনশীল ধান চাষ শুরু করি সেদিন থেকেই আইফার্মার আমার পাশে আছে। তারা নিয়মিত আমার ক্ষেত পরিদর্শন করত। চাষাবাদের নতুন কৌশল গুলো জানতে আইফার্মার আমাকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দিয়েছিল এবং আমি এর বেশ ভালো ফলাফল পাই।” - এভাবেই নিজের ধান চাষের গল্প বলছিলেন আদিতমারী, লালমনিরহাটের আবদুর রহমান। 

লালমনিরহাটের আদিতমারীর ছোট্ট একটি গ্রামে চারজনের পরিবারের জীবিকা নিশ্চিত করা সহজ কাজ না। কিন্তু আবদুর রহমান কৃষিকাজ করে যে সামান্য উপার্জন করেন তা দিয়ে তার পরিবারের ভরণপোষণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছেন। অন্য কোনো আয়ের উৎস না থাকায় আবদুর রহমান তার জমিতে সব সময় ধান ও বিভিন্ন সবজি চাষের ওপর নির্ভরশীল থাকেন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একজন কৃষক হওয়ায় আবদুর রহমানকে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘায়িত খরার মতো চরম আবহাওয়া মোকাবেলা করতে হয়। এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় কৃষি-পরামর্শ সুবিধা এবং প্রযুক্তির অ্যাক্সেস সীমিত হওয়ায় কৃষকদের অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় প্রায়ই। 

তিনি যখন আইফার্মার সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তিনি স্থানীয় জাতের একটি ধান চাষ করতেন যা পোকামাকড় সহনশীল বা উচ্চ ফলনশীল জাতের ছিল না। আইফার্মার তার ধানের জমির মাটি পরীক্ষা করে এবং তাকে একটি ভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করার পরামর্শ দেয়। স্যাটেলাইট মনিটরিং এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত এসএমএসের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি পরামর্শ সেবা পাওয়ার মাধ্যমে আবদুর রহমান সফলভাবে ধান চাষ করেছেন। আইফার্মার থেকে প্রাপ্ত কৃষি পরামর্শ অনুসরণ করে আবদুর রহমান গত মৌসুমে তার ২১ শতক জমিতে ১১ কেজি সারের ব্যবহার কমাতে সক্ষম হন। তিনি অবাক হয়েছিলেন যে কীভাবে কম খরচে পরিমিত পরিমাণে সার ব্যবহার করেও বেশি ফলন পাওয়া যায়, কারণ তার উৎপাদন পূর্বের চেয়ে ১৩০ কেজি বৃদ্ধি পায়। 

আবদুর রহমান এর মত গল্প গুলোই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার মূল উৎস। এরাই আমাদের হিউম্যানস অফ আইফার্মার।